কে হচ্ছেন বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি

সম্পাদকীয় 1 week ago প্রচ্ছদ

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী । কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় চলতি আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করবেন তিনি। বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় আইনাঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে, কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি?

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী । কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় চলতি আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করবেন তিনি। বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় আইনাঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে, কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি?


সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রধান বিচারপতি তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলে রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হলে ক্ষেত্র মতে অন্য কোনো ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত বা প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যভার পুনরায় গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করবেন।’


প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ছাড়া বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতা অনুসারে তারা হলেন-

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

বিচারপতি বোরহান উদ্দিন 

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম 

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী 

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম


একনজরে বর্তমানে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি



বিচারপতি ওবায়দুল হাসান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এরও চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিচারপতি বোরহান উদ্দিন : বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।১৯৮৮ সালের ১৬ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হন। বোরহান উদ্দিন ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক এবং ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।


বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম : বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ১৯৮৬ সালের ১০ অক্টোবর অধস্তন আদালতে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সালের ২ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১১ সালের ৬ জুন এই বিভাগে তিনি স্থায়ী নিয়োগ পান। ২০১৪ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে আনা হয়। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।


বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম : বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।


বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী : বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৫ সালে জেলা আদালতে এবং ১৯৯৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।


বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন : বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালের ৩১ অক্টোবর জেলা আদালত এবং ১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।



Responsive image

প্রাসংঙ্গিক নিউজ

শিরোনাম

⬤ রাজবাড়ীতে হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন এসপি ⬤ ভোলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত ⬤ আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় ‘দেখে দেখে’ সাক্ষী নেওয়া বন্ধে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আবেদন ⬤ রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে সিঁধেল চোর চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার সাত ⬤ নারী কমিশনার’কে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা মাসুদসহ জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব