মাদারীপুরের শিবচরে সাদিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূর মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করার অভিযোগে তার সাবেক স্বামী সুমন শিকদারকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মাঝিরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম।
পুলিশ সুপার জানান, প্রেমের সম্পর্ক করে চার বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর এলাকার সিরাজ শিকদারের ছেলে সুমন শিকদারের সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের। তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়ানো ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় স্বামী সুমন শিকদারকে তালাক দেন স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তালাক দেওয়ার কিছুদিন পর অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়ে যায় সাদিয়ার। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাবেক স্বামী সুমন শিকদার। প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গত ১৬ আগস্ট অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেন সাবেক স্ত্রীর মুখ।
এতে ওই গৃহবধ‚র মাথা ও মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন সকালে ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তারের বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর পালিয়ে যান অভিযুক্ত সুমন শিকদার। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএএম ফরহাদ রাহী মীর বলেন, মামলা গ্রহণের পর আমরা অভিযান পরিচালনা করে শিবচর ও জাজিরা পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তবে তিনি তার ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রেখে সুকৌশলে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেন। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।