কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে আইনজীবীর বাসা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি (২২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে আইনজীবীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার ওহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করতেন।
অভিযুক্ত আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমন কুষ্টিয়া জর্জ আদালতের আইনজীবী। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর এলাকার মৃত তক্কেল আলীর ছেলে। সুমন জিলা স্কুলের সামনের এলাকায় একটা বাসার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় স‚ত্রে জানা গেছে, কয়েকমাস আগে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনের সঙ্গে তুলির প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় গত ১৮ আগস্ট সুমন পারিবারিকভাবে অন্য একটি মেয়েকে কুষ্টিয়ার হরিপুরে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকেলে তুলি ওই আইনজীবীর বাড়িতে যান। পরে ওই বাসা থেকে সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
নিহত তুলির বড় বোন জান্নাতুল তাসনিম বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসা থেকে কলেজে যান তুলি। সেখানে ৩টা পর্যন্ত ক্লাস করে। ছুটির পরে সে আইনজীবীর বাড়িতে যায়। সাড়ে ৬টার দিকে ওই আইনজীবী তুলির দুলাভাইয়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার বাসায় যেতে বলেন। পরে আমরা তার বাসায় গিয়ে দেখি আমার বোনের মরদেহ নিচতলায় একটি ভ্যানের উপর রাখা। আমার বোনকে আইনজীবী মাহমুদুল ও তার বাসার লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমরা তার দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করব।
এবিষয়ে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।