হাইকোরর্টের আদেশ প্রতিপালন না করায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপেরেশনের দুই মেয়র এবং রাজউকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আাদালত অবমাননার রুর জারি করেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো ইকবার কবীরের সমন্বেয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি কারেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি করপোরেশনের মেয়র , রাজউকের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মসজিল মোরসেদ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকর রাস্তার পাশে ভবন তৈরিতে রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত রে আউট প্ল্যানে গাড়ি পাকিংয়ের ব্যাবস্থা থাকলেও অনের ভবন মালিক গাড়ি পাকিংয়ের নির্ধারিত জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/ দোকান/ স্থাপনা তৈরি করেন। তাদের গাড়িগুলোকে ভবনের সামনে রাস্তায় পাকিং করায় ঢাকা শহরে মারাত্মক যানজট সৃষ্টি হয়।
২০১৯ সালে সড়কে যানজট দূরীকরণে পদক্ষেপ নিতে হিউম্যন রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের ( এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী ছারোয়ার আহাদ চৌধুরী হাইকোর্টে রিট দায়েল করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট ৩০ দিন সময় দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে পাকিংয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারনের নির্দেশ দেন আদালত।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
রায়ে আদালত বিবাদীদের (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র, রাজউকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা) ছয় মাসের মধ্যে ভবনের কার পাকিং এলাকা থেকে দোকান/ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/ স্থাপনা অপসারনের নির্দেশ দেন। এর খরচ মালিকের কাছ থেকে আদায়ের নির্দেশ দেন। রায়ে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের এসব নির্দেশনা প্রতিপালন না হওয়ায় এইচআরটিবির পক্ষে নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু যানজট নিরসরে কোন ব্যবস্থা নেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ আবেদন করা হয়।
ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ আদালত ঢাকার দুই সিটির মেয়র ও রাজউকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেন। রুলে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করায় তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না , তা জানতে চেয়েছেন।