কক্সবাজারের ঝিলংজা সমুদ্রসৈকতে বার্মিজ মার্কেটের স্থাপনা উচ্ছেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ওই এলাকায় নির্ধারিত ব্যক্তিগত স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারবে না কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (কউক) সংশ্লিষ্টরা।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো: মুরাদ রেজা। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে রেদোয়ান আহমেদ রানজিব বলেন, কক্সবাজার ঝিলংজা মৌজায় বার্মিজ মার্কেটে ৬০ থেকে ৬৫টি দোকান আছে। এছাড়া নির্মাণাধীন দোকান রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক। এরই মধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (কউক) সংশ্লিষ্টরা বার্মিজ মার্কেট ভাঙতে চাইলে ওই জায়গার মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন শাওন হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে এক রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি), কক্সবাজারের পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের উচ্ছেদ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।
এদিকে, ২০১১ সালের ৭ জুন অন্য এক রায়ে কক্সবাজার সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সমুদ্র তীরে শত শত কোটি টাকার নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির সাইদ আহমেদকে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।