চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খান মিতু হত্যা মামলা তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়েছে। একই দিন মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে শুননি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ জনুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ। তিনি ল নিউজ ২৪ কে বলেন, হাইকোর্ট থেকে ভোলার জামিন নিয়েছিলেন। তিনি (মঙ্গলবার) নিয়মের কারণে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন। মামলার দুই আসামি পলাতক রয়েছে। প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুর আক্তারসহ বাকি চারজন কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সারৈর ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ,ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকারীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইম থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়েল করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালাত।
এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়েল করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অদিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।