দেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে কে নিয়োগ প্রদান পাচ্ছেন তা নিয়ে সব মহলে চলছে আলোচনা।
বয়স ৬৭ বছর পূর্ন হওয়ায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হবে। আইন মন্ত্রনালয়ের সূত্রে জানা যায়- চলতি সপ্তাহে বা আগামী মাসে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হতে পারে। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
প্রধান বিচারপতি অবসরে গেলে আপীল বিভাগে আর চারজন বিচারপতি থাকবেন। এই চারজন থেকেই একজন কে প্রধানবিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দিবেন মহামন্য রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ছবি - সংগৃহীত
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ছবি- সংগৃহীত
বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান ননী ছবি - সংগৃহীত
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছবি- সংগৃহীত
জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান । অতীতে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের জ্যৈষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচার পতি করার নজীর যেমন রয়েছে তেমনি অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠকে প্রধান বিচারপতি করার নজীরও রয়েছে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন কে সিনিয়র বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া কে ডিঙিয়ে প্রধান বিচারপতি করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইড হতে জানা যায় বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী অবসরে যাবেন ১ লা জানুযারী ২০২৩ সাল, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান ননী মেয়াদ রয়েছে ১ লা জুলাই ২০২৩, এছাড়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অবসরে যাবেন ২০২৬ সালের ১১ জানুযারী। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর পর্যন্ত বিচারপতি পদে আসীন থাকতে পারে।
প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে আইনজীবীদের অনেকে মনে করছেন জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হতে পারেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী । আবার অনেকে মনে করেন সার্বিক বিচার বিশ্লেষনে বিচারপিতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করা হতে পারে। এর পরে বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও প্রধান বিচারপতি হওয়ার তালিকায় রয়েছে।