বরগুনায় স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামীর সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন
২০০৩ সালে বরগুনায় স্ত্রী মালতি বেগমকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তির সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামির আপিল খারিজ করে এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আইনজীবী এম মাসুদ রানা, আইনজীবী নাফিউল মাজিদ ও আইনজীবী উম্মে ছালমা ছিলেন আসামিপক্ষে।
আইনজীবী এম মাসুদ রানা জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবাননন্দি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এছাড়া সাক্ষীদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ছিল। শুনানিতে এসব বক্তব্য উপস্থাপন করেচি। রায়ে আদালত মৃত্যুদন্ডাদেশ দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দন্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাতা জরিমানা করে অনাদায়ে ছয় মাসের দন্ড দিয়েছে।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আবদুল জলিলস হলের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকি গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে।
১৯৯৮ সালে আবদুল জলিল ও ফরিদপুরের মালতি বেগমের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৩ সালের ২৮ আগন্ট মালতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ তবস্তায় ভরে বাড়ির পেছনে পেড়াবাড়ির বাগানে পুঁতে রাথা হয় । পরদিন মালতির মরদেহ শেয়াল-কুকুরে খেতে দেকে প্রতিবেশীরা কাকচিড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। এর পরিপেক্ষিতে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে । এ ঘটনায় কাকচিড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মো. একরামুল বাদী হয়ে মালতির স্বামী, দুই দেবর,ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার তদন্ত কমকর্তা ২০০৪ সালের ৮ এপ্রিল সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার শেষে ছয় জনকে কালাস দিয়ে মালতির স্বামী জলিলকে ২০১৭ সালের ৯ মে মৃত্যুদন্ড দেন বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের।
এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন।
