আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে দেখে দুদকের সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন এনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদন করেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে একই আদালতে নাইকো দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। গত ১৭ মে ওই আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপাসন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার।
এর আগে গত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আভিযোগ গঠন করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুনীতির অভিযোগে ২০০৭ সারের ৯ ডিসম্বর দর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনেরা বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় । এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রয় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবক জ্বালিনি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন ( প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মাখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব কন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান,ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন,ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশানের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিন এশিয়া- বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।