মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পলাতক আসামি মুছার স্ত্রীসহ মোট তিন জন

সম্পাদকীয় 1 month ago আইন সংবাদ

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খান মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারসহ তিন জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

অন্য দুই সাক্ষী হলেন সরোয়ার আলম ও মেখলেসুর রহমান ।


সোমবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. ‍জসিম উদ্দিনের আদালতে তারা সাক্ষ্য ‍দিয়েছে ।

এদিন মিতুর স্বামী ও মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ। তিনি ল নিউজ ২৪ কে বলেন, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষীদের মধ্যে পান্না আক্তার হলেন অন্যতম প্রধান আসামি মুছার স্ত্রী। আর সারোয়ার আলম হলেন বিদেশি নারী গায়ত্রীর বাসার কেয়ারটেকার। মোখলেসুর রহমান হলেন মিতু হত্যার পর বিকাশে টাকা লেনদেনকারী।


আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ,ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকারীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।


তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইম থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়েল করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন। ওইদিনই  মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।


এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর  নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালাত।


এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়েল করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অদিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

Responsive image

প্রাসংঙ্গিক নিউজ

শিরোনাম

⬤ রাজবাড়ীতে হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন এসপি ⬤ ভোলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত ⬤ আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় ‘দেখে দেখে’ সাক্ষী নেওয়া বন্ধে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আবেদন ⬤ রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে সিঁধেল চোর চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার সাত ⬤ নারী কমিশনার’কে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা মাসুদসহ জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব