দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মোমিনপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের আনসারিয়া মাদ্রসা সংলগ্ন হয়বৎপুর সেজোপাড়ায় প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বাবা,চাচা ও অত্র ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
আলতাফ হোসেনের বিবাহিতা মেয়ে..(সৃষ্টি ছদ্মনাম)১৮ এর সাথে ইউসুফ আলীর (২৪) পিতা-মাহবুব হোসেন,গ্রাম- হয়বৎপুর (চৈতপুকুর)এর সাথে দীর্ঘদিনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।ইতিপূর্বে তাদের সম্পর্ক উভয় পরিবারের কেউ মেনে না নিলে তারা পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলো।
স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় আলতাফ হোসেন মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্র আনুমানিক ছয় মাস পূর্বে গোপনে বিয়ে দেন।জামাই সরকারি চাকুরীজিবি হওয়ায় বয়স এবং বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন।
এদিকে মেয়ে (সৃষ্টি ছদ্মনাম)বিয়ের পরেও প্রেমিক ইউনুসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে মেয়ের বাবা আলতাফ-ছেলেকে বোঝানোর কথা বলে কৌশলে ১৭ই জুন(শনিবার) সন্ধ্যায় বাড়িতে ডেকে আনেন।
এরপর মেয়ের বাবা,চাচা ও ইউপি সদস্য নূর আলম মিলে ইউসুফকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ঘরে বন্দি করে রেখে ছেলের বাড়িতে এই বলে খবর দেয় যে,ইউনুস তাদের মেয়েকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করার কারনে তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।এমতাবস্থায় যদি ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় পেতে চান,তো এখনি চলে আসেন।তারা দ্রুত সেখানে চলে আসেন।
বিচারের নামে নাটক তৈরি করে মেয়ের সংসার ভাঙ্গার অপরাধে ছেলে পক্ষের কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেন।এই অবস্থায় ছেলের বাবা মাহবুব হোসেন ছেলেকে দেখতে চান এবং মেয়ের মুখ থেকে শুনতে চান মূল ঘটনা।আরো বলেন,যদি আমার ছেলে দোষ করে থাকে তবে তারা যেকোন শর্ত শাস্তি হিসেবে মেনে নেবেন।
এমন প্রস্তাবে রাজি না হয়ে মেয়ের বাবা,চাচা ও ইউপি সদস্য উত্তেজিত হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।
বেরিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে তারা বদ্ধ ঘরের টিনের ছিদ্র দিয়ে দেখতে পান ইউনুসকে মেরে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখেছেন। তৎখনাত তারা বাড়িতে ফিরে গিয়ে আরো লোকজন নিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে এসে দেখে তারা কেহই বাড়িতে নেই। শুধু ইউনুসের নিথর মৃত দেহ পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে।তারা সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে বাড়ির হাঁস,মুরগী, গরু,ছাগল সহ প্রয়োজনীয় সকল মালামাল দ্রত অন্যত্র সরিয়ে নেয় এবং বাড়িতে তালা বদ্ধ করে সকলে পালিয়ে যায়।