চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাকাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেলের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সোমবার (১৫ মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেন।
এ নিয়ে এ মামলাটিতে সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডিশনাল, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আনোয়ার সরদার বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনাইকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না । ওই দিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর ভাই হারুর অর রশীদ স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্দে মামলা করেন।২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাননন্দি দেন
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাছাই বাছাই শেষে ২ আসামির উপস্তিতিতে অভিযোগ গ্রহন করেন আদালত।