রাজমাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ। মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফজলে সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৮ বিচারপতির পৃর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন ।
আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। অন্যদিকে অ্যাপর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।
এ দিন আদালতে ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ, মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা আহমেদ, তাদের পরিবারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও শাকিরা রওশন উপস্থিত ছিলেন।
ড. তাহেরের স্ত্রী বলেন , ১৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। অনেক যন্ত্রণা নিয়ে জীবন পার করছি। দুই আসামির রিভিউ আবেদন কারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমাদের ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট।। দ্রুত আসামিদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি।
রাজমাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।এর ফলে এই আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো বাদা থাকলো না। তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবে।