ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখায় কর্মঘন্টার বাহিরে রাত ৮টার পর ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে ব্যাংটির গুলশান করটোরেট শাখার ব্যাবস্থাপককে তলব করেছেন আদালত।
আগামী ১২ মার্চ তাকে হাজির হয়ে এ বিষয় ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখায় রাত ৮টার পর ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেনের ঘটনায় জড়িতোদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কি ব্যাবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রাত ৮টার পর লেনদেন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট স্ব- প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, বিএফইউসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ রাত ৮টার পর ন্যামনাল ব্যাংক থেকে তোলা হয় প্রায় ২৩ কোটি টাকা’ এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন দুদুকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এ সময় রাষ্ট্রাপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি
জেনারেল এ কে এম আমির উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারের আন্না খানম কলি উপস্থিত ছিলেন।
হাইকোর্টের নজরে আনা ওই প্রতিবেদনের প্রথম ভাগে বলা হয়, ব্যাংকিং লেনদেনর সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকের টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলন করা যায়। তকে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা রাত ৮টার পর এক গ্রাহককে নগদ ২২কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে । এ ঘটনা গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের পর নগদ লেনদেন করে ব্যাংকের কর্মকর্তারা গুরুতর অনিয়ম করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দীয় ব্যাংক।