একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলপুরের ১০ জনের বিষয়ে রাষ্টপক্ষের নবম ও দশম সাক্ষীগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মমেলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আরও সাক্ষগ্রহনের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আন্তরর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তরর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুর আলম।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমক। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। আইনজীবী শুকুর আলী খান ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ছিলেন আসামিপক্ষে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর রেজিনা সুলতানা চমক ল নিউজ ২৪ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় মোট আসামি ১১ জন হলেও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন পাঁচজন। তারা হলেন - ময়মনসিংহের ফুলপুর ইউনিয়নের পূর্ববাখাই গ্রামের মৃত আছর আলীর ছেলে ওমেদ আলী, অসিমুদ্দিনের ছেলে আবু বকর, বনগাঁও গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবদুল খালেক, বালিয়া ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামের মৃত কাজী সৈয়দ লুৎফর রহমানের ছেলে সৈয়দ বদিউর রহমান বনু ও ভাইটকান্দি ইউনিয়নের দানুয়ারী গ্রামের মৃত তরিফ উদ্দিন ওরফে তরিফ সরকারের ছেলে আব্দুর রশিদ সরকার।
আসামিদের মধ্যে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের মইসাউন্দা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন খানের ছেলে গিয়াসউদ্দিন খান মারা গেছেন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুরতানা জানান, মনবতাবিরোধী অপরাধ এর মামলায় মোট ছিলেন ১১ জন। এদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন । আর কারাগারে আছেন পাঁচজন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আটজনের সাক্ষগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা ও নারীদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট,অগ্নিসংযোগে সহযোগিতা ও জরিত থাকার অভিযোগ রয়েছে।