গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যার হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না বলে নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারতি মো. আব্দুল হাফিজের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালনে নিষেধজ্ঞার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দেন জেলা জজ আদালত।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে নিম্ন আদালতে চলমান মামলায় ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত বছরের ১৯ জানুয়ারি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালনে নিষেধজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।
ওই বছরের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিস্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মেহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ন জেলা জজ আদালত জাতয়ি পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাগ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জিএম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়েল করা হয়। সেই আবেদনে না মঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।
মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ২০২৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সির করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।