বাংলাদেশে বাবা ও জাপানি মায়ের সেই দুই শিশুকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
জাপানি মা নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশি বাব প্রকৌশলী ইমরান শরীফ দুই সন্তান নিজ হেফাজতে রাখার যে মামলা করেছেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকবে।
জাপানি
চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮
সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালে
শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর
ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে
নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। আরে
ছোট মেয়ে জাপানে মা
এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।
মেয়েদের
জিম্মা পেতে মাহামারির মধ্যে
গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি
নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট
করেন তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন আদালত।
তবে ওই দম্পতি সমঝোতায়
না আসায় কয়েকমাস ধরে
শুনানির পর হাইকোর্ট দুই
সান্তানকে বাবর হেফাজতে রাখার
সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা
যাতে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে
পারেন, তা নিশ্চিত করতে
বাবকে খরচ দিতে বলা
হয় ।
হাইকোর্টের
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন
করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো।
পরে আপিল বিভাগ এক
আদেশে শিশু
দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা সেটা না
মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালাত শিশু
দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের
সঙ্গে কথা বলেন এবং
পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন।
এরপর
এ মেয়ে দুটি কার
জিম্মায় থাকবে তার নিষ্পত্তি পারিবারিক
আদালতে হবে এবং তার
আগ প্রর্যন্ত শিশু তাদের মায়ের
কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়
আপিল বিভাগ। গত বছরের ১৩
ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেওয়া
হয়। এরপর আপিল বিভাগ
থেকে মামলাটি পারিবারিক
আদালতে আসে।
এসব
ঘপনার মধ্যে গত বছরের ২৩
ডিসেম্বর রাতে দুই সন্তান
নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত
শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান এরিকো নাাকানো।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে
যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর
থেকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়।