সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই বিধিমালায় পাঁচ ধারায় অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (সহযোগী অধ্যাপক) পদ কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার( ২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মাসুদ রানা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
মাসুদ রানা বলেন, সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ এর পাঁচ ধারায় বলা হয়েছে- অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক পদধারিরা সরকারিকরণের আওতায় থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সহযোগী অধ্যাপকদের পদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তিনি বলেন, এই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে সহযোগী অধ্যাপকদের পক্ষে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ ছয় অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালত আজ (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে রুল জারি করেন। শিক্ষা সচিবসহ চারজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।