ল নিউজ ২৪ ডট কম: বরগুনার আলোচিত আয়নাল হক ও ফারুক সর্দার হত্যা মামলায় ২জনকে যাবৎজীবন ও ১৩ জনকে খালাস প্রদান করেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার( ৮ নভেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ মো: জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্গ শেখর সরকারের সমন্ধয়ের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
আসামী পক্ষে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মো: বেলায়েত হোসেন। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো: আশিকুজ্জামান নজরুল ও সাব্বির হামজা চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টণী জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় - ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে যায় ১৫ জন মাঝি যার সর্দার ছিলেন বাবুল মাঝি। পরবর্তীতে মাছ ধরার সময় বাবুল মাঝি তার পীর বাবা ইমান আলী শেখকে তার আল্লাহ বলে সবাইকে জিকির করতে বলেন, আয়নাল হক ও ফারুক সর্দার রাজী না হওয়ার বাবুল মাঝি ও রুস্তম হাওলাদার নির্যাতন করে। নির্যাতনরে ফলে তারা মারা যায়। বাবুল মাঝি তখজানায় তার পীর ইমান আলীর তেল পড়ার জীবিত হবে। কিন্তু জীবিত না হওয়ায় ডাকাতির ঘটনা সাজায় এবং পুলিশের তদন্তে আসল সত্য বের হয়। এবং বাবুল মাঝি সহ অন্যান্য দের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বাবুল মাঝি ও রুস্তম হাওলাদারকে ফাঁসির আদেশদেন এবং বাকী ১১ জনকে যাবৎজীবন ও ১জনকে ৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলেন-বাবুল মাঝি ও রুস্তম হাওলাদার। মো: রিয়াজ গাজী, মো: খোকন, মো: রহিম, মো: সেন্টু, কটি মিয়া, ফজলু হাওলাদার, মো: হাবিবুর রহমান জমাদ্দার, বাবুল, আ:খালেক, মনিরুল ইসলাম, মো: বাদল, মো: হানিফ, বাশার খালাস প্রদান করা হয় ।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো: বেলায়েত হোসেন ল নিউজ ২৪ ডট কমকে বলেন- বর্তমান সময়েও ধর্মীয় কুসংস্কার ও ভন্ড পীর দরবেশরে অন্ধবিশ্বাস গ্রামের অশিক্ষিত ও ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর মনে কিভাবে নেতি বাচক প্রভাব ফেলে এবং হত্যা মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হয় এ মামলা তার একটি উদাহরন । যা এই আধুনিক যুগে কাম্য
নয়, এই বিষয়ের প্রতি প্রশাসনের নজর রাখা ও আমাদের সচতেনতা বাড়াতে হবে।