শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে আরাফাত ফয়সাল (২৪) নামে এক সিএনজি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার মানিককুড়া গ্রাম থেকে আরাফাত ফয়সালকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ফয়সাল ঝিনাইগাতী বাজারের আব্দুল সামাদের ছেলে।
এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় আরাফাত ফয়সালকে প্রধান আসামি করে দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল আলম ভ‚ইয়া গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভিকটিমের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, ভিকটিম মানিককুড়া গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৯ আগস্ট বিকালে ভিকটিমের পাশের বাড়ির মৃত ফজল হকের ছেলে মোশারফ (৩০) এর বাড়িতে খেলছিল শিশুটি। এ সময় মোশারফের সহযোগিতায় আরাফাত ফয়সাল তাকে ফুসলিয়ে রান্না ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার করলে তার কাপড় খুলে মুখ চেপে ধরে। একসময় শিশুটির চিৎকারে ধর্ষক তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসে। এ সময় তার অবস্থার অবনতি দেখে ওই শিশুর মা মেয়েকে চিকিৎসা করান।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মোশারফের নেতৃত্বে কিছু লোক ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি দিয়ে তাদেরকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। যে কারণে বিষয়টি তাৎক্ষনিক আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিষয়টি স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা জানারপর ২২ আগষ্ট রাতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ফয়সালকে গ্রেফতার করে।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মনিরুল আলম ভ‚ইয়া বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ জানার সাথে সাথে অভিযান শুরু করে। ইতোমধ্যে ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফয়সালকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।