চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৩১ মে দিন ধার্য

সম্পাদকীয় 3 months ago আইন সংবাদ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৩১ মে দিন ধার্যকরেছেন আদালত। 


রোববার (২১মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ‍রফিকুল আসলাম এ নতুন দিন ধার্য করেন। 


এদিন এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ নতুন ‍দিন ধার্য করেন। 


মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহীনুর আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।


এ মামলার আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবাসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানহিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। 


১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্প ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয় । এ ঘাটনায় তার ভাই তৌহিদুল চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃত্ততার অভিযোগ ওঠে।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করা হয়।


ঘটনার রাতে সোহেল চৌধুরী তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভোতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেল চৌধুরীকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, ফারুক ও আদনান গুলি চালায়। 


মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের দুই বছর পর মামলাটির বিচার দুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। 


মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈদতা চ্যালেলেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস একং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন শুনানি শেষে  ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন।  রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। 


সবশেষে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এল সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। 

Responsive image

প্রাসংঙ্গিক নিউজ

শিরোনাম

⬤ রাজবাড়ীতে হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন এসপি ⬤ ভোলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত ⬤ আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় ‘দেখে দেখে’ সাক্ষী নেওয়া বন্ধে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আবেদন ⬤ রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে সিঁধেল চোর চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার সাত ⬤ নারী কমিশনার’কে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা মাসুদসহ জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব