মো. আল -আমিন (রাকিব)!!
ভোলা জেলার প্রতিটি ঘরে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) ভোলা সদর উপজেলার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে ভোলা সদরে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গ্যাস নিয়ে ভোলাবাসীর প্রত্যাশাও বাড়ছে। দেখা দিয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন সমৃদ্ধির সম্ভাবনা। বর্তমানে ভোলাতে ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র,৩টি শিল্প কারখানা এবং ২৩৫০টি আবাসিক সংযোগে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। ঘরে ঘরে গ্যাস দেওয়ার জন্য সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ডিমান্ড নোটের মাধ্যমে প্রায় ৭০০-৮০০ গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা জমা নেওয়া সত্বেও দীর্ঘ ৪ বছরের অধিক সময় ধরে গ্রাহকরা গ্যাস পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভোলায় বর্তমানে বাপেক্স এর অধীনে ৯টি গ্যাস কূপ রয়েছে। ৯টি কূপ হতে দৈনিক প্রায় ১৫০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ভবিষ্যতের দৈনিক আরো প্রায় ১০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বমোট ভোলায় দৈনিক প্রায় ২৪০-২৫০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পক্ষান্তরে ভোলায় গৃহস্থলিতে ০.৭ মিলিয়ন গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু ভোলার জনগণের ন্যূনতম গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা বিবেচনা না করে বিভিন্ন পন্থায় ভোলার গ্যাস অন্য এলাকার গ্রাহকের সুবিধার বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পায়তারা চলছে। যেহেতু দেশের যাবতীয় সম্পদের মালিক সরকার। সেহেতু সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু ভোলার জনগণকে দেশের মানুষ অন্যান্য এলাকার ন্যায় গৃহস্থলীর কাজে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে অন্যত্র নিলে ভোলাবাসীর কোন আপত্তি থাকবে না। উৎপাদিত গ্যাসের শুধুমাত্র ২%-৩% গ্যাস ভোলাবাসীকে গৃহস্থলী খাতে ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। আবাসিক খাতে উৎপাদিত গ্যাসের দৈনিক ০.৭-০.৮ মিলিয়ন গ্যাস ভোলার জন্য বরাদ্দ রাখা ভোলাবাসীর প্রাণের দাবি ।