ঢাকার সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজানুরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩০ এপ্রির দিন ধার্য করেছেন আদালত ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।এদিন নীলার ভাই অলক রায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত জেরার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে , এ মামলার বাদী নীলার বাবা নারায়ণ রায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত বছরের ৩ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা জজ ইসমত জাহান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ।
মামলায় আসামিরা হলেন- মিজনুর রহমান, সাকিব হোসেন ও সেলিম পাহলান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা ও তার ভাই অলক রায়কে রাস্তার মধ্যে থামায় মিজানুর । পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মিজানুর । এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে ছুরিকাঘাত করে মিজানুর পালিয়ে যান।
পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকণ্ডের পর দিন ২১ সেপ্টেম্বর নীলার বাবা বদী হয়ে সাভার মডেল থানায় এাকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাত দিন রিমান্ড শেষে ১ অক্টোবর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কাথা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেন মিজানুর। পারে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এদিকে উচ্চ আদালত থেকে অন্য দুই আসামি সাকিব ও সেলিম জামিনে মুক্তি পান ।
নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার বাসিন্দা । সে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।