মো. সাহাবুদ্দিরকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনারের গেজেটের বৈদতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি হাসান ফজলে সিদ্দিকী।
গত ৭ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনারের গেজেট প্রকাশের বৈদতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এ ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না , এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। এই রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।
রিট দায়ের করার কারণ প্রসঙ্গে আইনজীবী এম এ আজিজ খান ল নিউজ ২৪ কে বলেন, রাষ্ট্রপতি বাচাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচিই বাছাই সঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুুদক আইন ২০০৪ এর ৯ ধারা অনুসারে সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।