ধর্ষণ মামলায় পাবরা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারুককে ভরণপোষণ বাবদ ৫০ লাক টাকা ও বিয়ের শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত ।
সোমববার (১৩ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ডি এম সাইফুল ইসলাম ল নিউজ ২৪ কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ এ মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জমিন দিয়েছেন। মেয়ের ভরণপোষণের জন্য ৫০ লাখ টাকা ও বিয়ের কাবিনের জন্য দুই লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে দশ হাজার টাকা মুছলেখায় তাকে জামিন দিয়েছেণ আদালত। আমরা দশ লাখ টাকা চেকে এবং বাকি চল্লিশ লাখ টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে বাদীকে দিয়েছি।
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিচের নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে ও প্রতারণার ঘটনায় পাবরা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই দিন বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে।
এর আগে, গত বছর ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে এ মামলা দায়ের করে। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দী গ্রহন করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয় তদন্তের আদেশে দেন। অভিযোগ তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিটিকক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এ সময় বাসায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছিলেন। তখন তার আত্মীয়- স্বজনেরা তাকে পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামীর সাথে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে ও একপর্যায়ে সফল হয়।
আসামি তাকে জানান. তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। তার প্রথম পক্ষের ছেলেকে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বাদীকে তার প্রতি দুর্বল করে ফেলে। সামাজিক নির্ভরতার জন্য ও একাকীত্বের অবসানসহ নতুন সংসার শুরুর মাধ্যমে তিনি আসামিকে মনে প্রাণে ভালবেসে ফেলে এবং বিয়ের প্রস্তাবের পরিপেক্ষিতে রাজি হন। ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।