নৌবাহিনির কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
নৌবাহিনির কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু হলো।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নাঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কারে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন ।
মামলার অন্য ৪ আসামিরা হলেন, ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যাল ওয়াসিফ আহমেদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এসময় ধানমন্ডিতে হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে । এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ায় ও নিজের পরিচয় দেয়। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আর স্ত্রীকে আশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে আরফান সেলিম, ও তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতসাম দু-তিন জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমেদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
