ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজনসহ ৯ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন বিশেষ জজ আদালত নং-৭।
সাজাপ্রাপ্ত ছয় ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন- সোনালী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক এজিএম/ম্যানেজার মোঃ জাকারিয়া হোসেন, অফিসার মোঃ আবদুর রাজ্জাক, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার কে এ এস এম ফয়জুল্লা, অফিসার মোঃ আবদুস সামাদ, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার কে এ এস এম ফয়জুল্লা, সাবেক এসপিও বেগম মালিকা খুরশীদ বানু, সাবেক গোডাউন চৌকিদার মোঃ জামাল উদ্দিন বিশ্বাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন হলেন- ঢাবির নগদ শাখার ক্যাশ অফিসার সরকার অরুণ চন্দ্র কর্মকার ও উচ্চমান সহকারী মোঃ ফাহিম হোসেন খান। এছাড়াও অপর একজন হলেন ময়মনসিংহের বাসিন্দা সফিউল আলম ওরফে সাইফুল আলম ওরফে সজীব ওরফে সফিকুল ইসলাম। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
তিনি বলেন, আদালতের রায়ে চার্জশিটভুক্ত মোট ১৩ আসামির মধ্যে ৯ জনকে সাজা এবং ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৬২ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জাল বিল ও জাল চেকের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৬২ টাকা আত্মসাতের দায়ে তৎকালীন রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসাইন মামলা দায়ের করেন। প্রথমে পুলিশের সিআইডি পরে ২০০৯ সালে তা তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করা হয়। এরপর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোঃ ফজলুল হক মামলাটি তদন্ত করে ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি হিসাবের ৫টি চেক জাল করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। চেকে কম টাকার স্থলে অনেক বেশি টাকার অংক বসিয়ে আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৬/৪০৮/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/২০১/১০৯ দণ্ড বিধি এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল হয়।