গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে করা আট মামলার শুনানির প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ আটটি মামলা নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি, শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শ্রম আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি এসব মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৯ নভেম্বর গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক সাত কর্মকর্তা ও দুই কর্মচারী ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মোট আটটি মামলা দায়ের করেন। তারা হলেন- শাহানারা বেগম, রোকেয়া সুলতানা, রেবেকা সুলতানা, মরিয়ম সুলতানা, মারজিয়া পারভিন, জোবায়ের আহমেদ, মনি শংকর মৃধা, মো. সোবান মোল্লা ও আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০০৯ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের বিনা নোটিশে ছাঁটাই করা হয়েছে।
শ্রম আইনে বলা আছে- শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এ লভ্যাংশ না পাওয়া ও বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ টেলিকমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। পরে জবাব না পেয়ে মামলা করেন।
ওইদিন আদালত মামলা গ্রহণ করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেন বলেও জানান এ আইনজীবী।