বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদীতে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত ৫ নভেম্বর ইশরাককে প্রধান আসামি করে দলটির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয় বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন।
গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার পর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলালউদ্দিন বলেন, পেনাল কোড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া গৌরনদী উপজেলার বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার ও জাফরসহ নামধারী ৭০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মাহিলাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শহীদ সরদার দাবি করেন, তারা ১০/১২ জন সকাল ৬টার দিকে মাহিলাড়া বাজারের সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে ৭০/৭৫টি গাড়ির বহর এসে বাজারের সামনের মহাসড়কে থামে। তখন গাড়ি থেকে ক্যাডাররা নেমে বাজারের মডার্ন ক্লাব এবং আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। তারা ক্লাবের মধ্যে থাকা টিভি, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে।
শহীদ সরদার আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তারা মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাস কবিরাজকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সঙ্গীত সিকদারসহ আরও দুজন হামলায় আহত হয়েছেন। এ কারণে মামলা করা হয়েছে।
তবে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা মিতু বলেন, বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দেওয়া উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়া ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা বহরের অনেকগুলো গাড়ি ভাঙচুর করেছে।